ফেনী প্রতিনিধি :
সংসদ পদ বৈধ বলে উচ্চ আদালতের রায় ঘোষণার পর পিতা জয়নাল আবেদীন হাজারী’র কবর ও ফেনীর আধ্যাত্মিক ব্যক্তি পাগলা মিয়ার মাজার জিয়ারত করেন ফেনী-২ আসনের সংসদ সদস্য নিজাম উদ্দিন হাজারীর। বৃহস্পতিবার দুপুরে উচ্চ আদালতের বিচারক মো. আবু জাফর সিদ্দিকীর একক বেঞ্চ এই রায় ঘোষণা করেন।
এসময় জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আবদুর রহমান বিকম, ছাগলনাইয়া উপজেলা চেয়ারম্যান মেজবাউল হায়দার সোহেল চৌধুরী, ফেনী পৌরসভার মেয়র হাজী আলাউদ্দিন, প্যানেল মেয়র আশ্রাফুল আলম গিটার, ছাগলনাইয়া পৌসভার মেয়র মো. মোস্তফা, সোনাগাজী পৌরসভার মেয়র এডভোকেট রফিকুল ইসলাম খোকন, কাউন্সিলন বাহার উদ্দিন বাহার, কোহিনুর আলম, কাজিরবাগ ইউনিয়ন চেয়অরম্যান বুলবুল আহমেদ সোহাগ, মোটবী ইউনিয়ন চেয়ারম্যান হারুন অর রশিদ এলএলবি, বগাদানা ইউনিয়ন চেয়ারম্যন ইছহাক খোকন, আনন্দপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান হারুন মজুমদারসহ বিপুল পরিমান দলীয় নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন। এর আগে বেলা ১১টায় ঢাকা থেকে হেলিক্টার যোগে ফেনী ক্যাডেট গালর্স কলেজ সংলগ্ন মাঠে অবতরণ করেন নিজাম উদ্দিন হাজারীর।
উল্লেখ্য, ২০১৪ সালের ১০ মে একটি জাতীয় দৈনিকে ‘সাজা কম খেটেই বেরিয়ে যান সাংসদ’ শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘২০০০ সালের ১৬ আগস্ট অস্ত্র আইনের এক মামলায় নিজাম হাজারীর ১০ বছরের কারাদণ্ড হয়। কিন্তু দুই বছর ১০ মাস কম সাজা খেটে কারাগার থেকে মুক্তি পান তিনি’। পরে এই প্রতিবেদন যুক্ত করে নিজাম হাজারীর সংসদ সদস্য পদে থাকার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট আবেদন করেন সাখাওয়াত হোসেন ভূঁইয়া।
রিট আবেদনে বলা হয়, সংবিধানের ৬৬ (২) (ঘ) অনুচ্ছেদ অনুসারে, কোনো ব্যক্তি সংসদের সদস্য নির্বাচিত হওয়ার এবং সংসদ সদস্য থাকার যোগ্য হবেন না, যদি তিনি নৈতিক স্খলনজনিত কোনো ফৌজদারি অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হয়ে কমপক্ষে দুই বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত হন এবং তার মুক্তিলাভের পর পাঁচ বছর অতিবাহিত না হয়ে থাকে। সে হিসেবে নিজাম হাজারী ২০১৫ সালের আগে সংসদ সদস্য হতে পারেন না। অথচ ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে সংসদ সদস্য হন তিনি।